শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

এই হল মোর কবিতার খেরোখাতা, ইচ্ছে হলে যখন খুশি লিখি যা তা ।


সৃষ্টির শুরুতে গুহা বা অরণ্যবাসী মানুষ এবং পশুকুলের মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য ছিল না । বেশীর ভাগ বন্য পশুই সৃষ্টিগত ভাবেই হিংস্র, সে তার সহজাত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারাই আত্ন রক্ষা ও শিকারের কাজ চালায় কিন্তু এইসব হিংস্র পশুকুলের তুলনায় শারীরিক ভাবে মানুষ অনেক দুর্বল, অনেক হালকা পাতলা । অন্যান্য পশুকুলের মতো তার আত্নরক্ষা বা শিকারের সহজাত কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গও নেই । এই ঘাটতি পুরনে বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে মানুষ প্রথমে পাথর, কাঠ ও হাড়ের তৈরী হাতিয়ার আবিষ্কার করল এবং এর মাধ্যমে মানুষ তার শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে আত্নরক্ষা ও শিকারের যোগ্যতা অর্জন করল । এরপর সে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গৃহ নির্মাণ করতে শিখল । অনিশ্চিত শিকারের উপর নির্ভর করে না থেকে খাবারের নিশ্চিন্ত উৎস ও অন্যান্য গৃহস্থালী কাজ সম্পাদনের জন্য  সে পশু পালন ও চাষাবাদ করতে শিখে গেল । এরপরের সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য ঘটনাটি হল আগুনের আবিষ্কার । এরপর সে ক্রমাগত উন্নয়নের মাধ্যমে আজকের এই সাইবার ও স্পেস কালচারের যুগে এসে পৌঁছে গেছে । এই ইতিহাস আমরা সবাই জানি । এটা নতুন কিছু নয় । এখন চলছে স্টেমসেল গবেষণা, বিগ ব্যাং থিওরী অটো প্রসেস, জেনেটিক রি স্ট্রাকচারিং ইত্যাদি ইত্যাদি । তবু মানুষ এখনো এইডস, ক্যান্সারের মতো ব্যাধির যাথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি বের করতে পারেনি অথচ প্রাণঘাতী মারণাস্ত্র পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করে বসে আছে !
এর মধ্যে গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল কম্পিউটার প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যাপক ব্যবহার । এককালের সেই জঙ্গলবাসী মানুষের  উত্তর পুরুষ আজকের মানুষের জীবন আজ বড় বেশী প্রযুক্তি নির্ভর । প্রযুক্তি নির্ভরতার এই যুগে প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা মানে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা, পিছিয়ে পরা । একজন ইন্ডিয়ান লেখক বলছিলেন
      এমন একজন বাঙ্গালী খুঁজে পাওয়া কঠিন যে জীবনে ফুটবলে একটা লাথি মারেনি    
       বা দু লাইন কবিতা লেখেনি 
বাঙ্গালির এই কাব্য প্রেমকে ব্যঙ্গ করে আরেকজন সমালোচক বলেছিলেন
             কবিতা কবিতা আর কোরনা, কবিতা হয়েছে বাসি ।
              বাংলাদশে কাকের চাইতে কবির সংখ্যা বেশী
আমি এই দু লাইন কবিতা লেখা কাক কবিদের একজন । প্রযুক্তির এই যুগে স্বরচিত এর মাধ্যমে আমার কবিতার খাতাটাকে ডিজিটাল করে নিলাম । তাইতো এই ব্লগটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে
 

                                 "এই হল মোর কবিতার খেরোখাতা ইচ্ছে হলে যখন খুশি লিখি যা তা।"



ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি 

স্বরচিত 

 এই হল মোর কবিতার খেরোখাতা 
ইচ্ছে হলে যখন খুশি লিখি যা তা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...