সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৩

ফেসবুকঃ ন্দরীর খোঁজ ও ফেকবুক - হাসান ইমতি














পটভূমিঃ

সেই মার্ক এলিয়ট জুকার বার্গ এর হাত ধরে শুরু এরপর
ফেসবুককে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। যত দিন গেছে
ততই বেড়েছে ফেসবুকের ব্যপ্তি,সদস্য সংখ্যা ও জনপ্রিয়তা।
সমস্যা, অভিযোগও আছে প্রচুর তবুও গুগল, টুইটার, ইয়াহু,
মাইস্পেস সবাইকে পিছে ফেলে আজ নেট দুনিয়ায় নিজের
শ্রেষ্ঠত্ব জানান দিয়ে শত কোটি সদস্য নিয়ে সগৌরবে সামনে
এগিয়ে চলেছে ফেসবুক । কেউ জানে না, এর শেষ কোথায় ।

সময় কালঃ

সেই ২০০৪ থেকে অদ্যবধি চলছে ফেসবুক । হয়তো চলবে
মানব সভ্যতার শেষ পর্যন্ত, হয়তো তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ পর্যন্ত,
হয়তো পৃথিবী, সূর্য বা সৌর জগৎ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত ।
হয়তোবা কোন আইনগত জটিলতায়, নতুন কোন প্রযুক্তির
আগমনে বা মানুষের রুচির পরিবর্তনে বন্ধ হয়ে যাবে যেকোন
সময় । আমার কেউই জানিনা কি ঘটবে আগামী দিন গুলোতে
আমরা যারা আজ ফেসবুকে বিচরণ করছি এক শতাব্দী পর
আমরা কেউ হয়তো থাকবো না কিন্তু ফেসবুক হয়তো তখনো
থাকবে । ফেসবুকে থাকবে আমাদের উত্তর পুরুষের বিচরণ ।

স্থানঃ

স্থানের সঙ্কীর্ণ সীমারেখা প্রযোজ্য নয়। আপাতত শুধু এই পৃথিবীতে
সীমাবদ্ধ । ভবিষ্যতে ভিনগ্রহের এলিয়েনরাও বিবেচ্য হতে পারে।  

পাত্র পাত্রীঃ

যে কেউ, জাত, কুল, বংশ, বয়স, লিঙ্গ ইত্যাদি সঙ্কীর্ণতা প্রযোজ্য নয় ।
আপাতত শুধু এই পৃথিবীর মানুষদের জন্য উন্মুক্ত । ভবিষ্যতে পশু
পক্ষী কুল, কীট পতঙ্গ, রোবট, বা এলিয়েনরাও বিবেচ্য হতে পারে।

ফেসবুক কথনঃ  সুন্দরীর খোঁজ ও ফেকবুক

ফেসবুকে আসি আমি প্রতিদিন রোজ,
দিন রাত চলে সুন্দরী মেয়েদের খোঁজ ।
চারপাশে কত শত প্রোফাইল সুন্দরী,
কি করি, কাকে ছেড়ে কাকে যে ধরি ।

কত শত সুন্দরী এঞ্জেল আর প্রিন্সেস,
যত দেখি কিছুতেই দেখা হয়না শেষ ।
ফেসবুক প্রোফাইল সুন্দরীদের মেলা,
দেখতে দেখতে কখন যে যায় বেলা ।

টাইমলাইন, প্রোফাইল আর নিজের ওয়াল,
বোঝে কার সাধ্যি কে আসল, কে ভেজাল ।
কার ছবি কে যে দেয় তার নেই কোন খোঁজ,
শাকচুন্নীও হয়ে উঠে যে সরোজিনী নীরোজ ।

ফেসবুকে সব মেয়েই তো অনিন্দ্য সুন্দরী,
যেন মর্তলোকে স্বর্গের সব অপ্সরা, হুরপরী ।
সত্যিকার ঘটনা কেউ করতে গেলে যাচাই,
হয়ে যাবে রামবোকা, হয়ে যাবে সে ভোদাই ।

এক্যাউন্ট আছে অনেকেরই ভুয়া বা ফেক ,
অনেকেরইই আইডি  দুই,তিন বা ততোধিক ।
আবুলের ফেসবুক নাম হয় ফারিয়া এঞ্জেল,
প্রোফাইল ছবিতে দেয়া আগরওয়াল কাজল ।

দিন নেই রাত নেই, খাওয়া নাওয়াও নেই,
ফেসবুক অবিরাম চলে, চলছে, চলবেই
চলছে তো চলছেই, সেতো আজ হটকেক,
ফেসবুক নাম তার আসলে সে যে ফেকবুক ।


হাসান ইমতি 

স্বরচিত
হাসান ইমতির কবিতারা 

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৩

ফেসবুকঃ সূত্রপাত - হাসান ইমতি


















পটভূমিঃ

আমেকিকান তরুণ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট মার্ক এলিয়ট জুকার বার্গ
ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ফেসবুক নেটওয়ার্ক ।
তখন বলা হয়েছিল ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের মাঝে যোগাযোগ ও
তথ্য আদান প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে এই নেটওয়ার্ক। কিন্তু
এর পেছনে তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল ফেসবুক নেটওয়ার্কভুক্ত
ইউনিভার্সিটির মেয়েদেরকে ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা।
এর শাস্তি হিসেবে তাকে একসময় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে
বহিষ্কারও করা হয় । তারপরেও থেমে থাকেনি তার ফেসবুক ।

স্থানঃ

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাস্ট ।

কালঃ

২০০৩ -২০০৫ ইং

পাত্র পাত্রীঃ

মার্ক জুকারবারগ ও তার বন্ধুরা, ইউনিভার্সিটির সুন্দরী মেয়েরা ।

ফেসবুক কথনঃ সূত্রপাত

তরুণ যুবক এক জুকারবার্গ মার্ক,
বর্ণান্ধ চোখ, তবু মনে স্বপ্ন অনেক ।
চারপাশে এতো শতো মেয়ে সুন্দরী,
ইসস, কাকে রেখে কাকে যে ধরি ।

সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড তারও যে ছিলো,
তবু মেয়ে দেখতে লাগে যে ভালো ।
প্রেমেতে আছে হৃদয় ভরানো সুধা,
ওতে যে মেটে না দু চোখের ক্ষুধা ।

কি করা যায়, কি দিয়ে কি যে হয়,
ভেবে ভেবে বের করলো সে উপায় ।
সংগ্রহ করা যতসব সুন্দরীদের ছবি,
তাই না হয় হোক আমার প্রিয় হবি ।

যেই ভাবা সেই কাজ, রোমিও মার্ক
সাথে নিয়ে সমমনা বন্ধু এক ঝাঁক ।
মাঠে নামে নিয়ে মিলিত উদ্যোগ
গড়ে তোলে নেটওয়ার্ক, ফেসবুক ।

সুন্দরী ছবি দাও, হবে ফটো হ্যাক
বললে তো আর চলবেনা ফেসবুক,
বলা হলো শুধু তথ্য ও যোগাযোগ
নামটি তার নেটওয়ার্ক ফেসবুক ।

এই দলে একা যে নয় জুকারবার্গ
আরোও ছিল এমন বহু ব্যক্তিবর্গ, 
বোঝা গেলো তা বয়ে যেতে সময়
ফেসবুক তাই আজ সারা বিশ্বময়।



হাসান ইমতি 

স্বরচিত
হাসান ইমতির কবিতারা 

প্রেমের কবিতা - হাসান ইমতি
















আমার তোমাকে নিবেদিত প্রেমের কবিতা মাত্র নয়,
তুমিমুগ্ধ আমি একমাত্রিক কবি, আমার বর্ণান্ধ চোখে তুমি
ছাড়া আর কোন রঙ নেই, তুমি ছাড়া আমার কাছে আর
কোন দ্রষ্টব্য নেই, তুমি ভিন্ন আমার আর কোন গন্তব্য নেই,
ফুলের হৃদয় মাতানো সৌরভে আমি উদ্বেলিত  হই না,
পাখির কলতান আমায় প্রশান্তি দেয় না, নদীর নির্ঝর,
 বাতাসের সমীরণ, সাগরের প্রস্রবণ, চাঁদের বিকিরণ,
সূর্যের প্রজ্বলন এইসব আমার গভীরতায় কোন বোধ সৃষ্টি
করে না, অন্য অনেকের মত এইসব আমার চিত্তকে উত্তেজিত
করে না, আমি পরে থাকি তোমাকে নিয়েই, তুমি ছাড়া
আর কোন আরাধ্য নেই আমার, আমার সব কবিতা তোমা
হতে শুরু শেষ হয়, তোমাকে নিয়ে, তোমার সুখ, দুঃখ,
হাসি, কান্না, খুনসুটি, প্রেম, বিরহ, পাপ, পুণ্য,জন্ম, জরা,
কষ্ট, ক্লেশ  সবকিছু নিয়ে, সবটুকু তোমাকে নিয়ে আমি
লিখে চলি প্রতিনিয়ত, সবটুকু তোমাকেই আমি ধারণ
করে রাখি, জড়িয়ে থাকি, ছুঁয়ে রাখি আমার কবিতার
শরীরে, শুনে তুমি ঠোঁট বাঁকিয়ে বললে,“কই কখনো 
দেখিনি তো”? প্রশ্নের উত্তর হয়, তুমিও উত্তরই আশা
করেছিলে, কিন্তু আমি তোমাকে প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্নই
করলাম, তুমি কি আমার আমাকে ছুতে পারোনি ?
শুধু এই  রক্তমাংসের আমাকে নয়, শরীর নয়,
শরীর ছাড়িয়ে আরও গভীরে, আমার নিজস্বতার
একান্ত সুর শুনতে পাওনি ? শরীরে স্ফীত হয়ে ফুলে
থাকা এই নীল শিরা উপশিরাগুলো দেখতে পাওনি ?

আমার শিরায় শিরায়, লোহিত কণিকার লাল জলোচ্ছাসে,
অণুচক্রিকায়, হৃদয়তন্ত্র জালে যে আকুলতা,যে কবিতা
ধ্বনিত হয় তার  প্রতিপাদ্য তো তুমি, তুমিই তো
তুমি কি জান না সে কথা ? তুমি কি আমার অনুভূতির
পদধ্বনি শুনতে পাও না আত্মার গভীরে? তোমার একান্ত
নিজস্বতায় কি আমার মনোবেদন ধরা দেয় না ? 
আমার নিউরনের ভেতর, স্নায়ু তন্ত্রে, আজ্ঞাবাহী
স্বয়ংক্রিয় মোটর স্নায়ুতে যে কবিতা নিয়ত প্রবাহমান
সে তো তোমাকে নিয়েই, তুমি কখনো এই চোখে চোখ
রেখে দেখেছো কি আমাকে ? আমার চোখের তারার গভীরে
সে কবিতা, সে তো তোমারই দান, তুমিই তো আমার সব
কবিতার প্রেরণা, আমার সব কবিতা তোমা হতে শুরু
শেষ হয়, আমি কোন প্রথাগত কবি নই, তাই আমি
পারিনা তুমি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কোন কবিতা লিখতে


 

শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৩

মানুষ দেবতার চেয়েও বড় - হাসান ইমতি

















মানুষের মনের চেয়ে বড় কোন দেবালয় নেই,
মানুষের বিবেকের চেয়ে বড় কোন উপাস্য নাই
তোমরা কংক্রিটের পর কংক্রিট সাজিয়ে,গাইতি
চালিয়ে, নকশা ও কারুকার্যখচিত যে নিষ্প্রাণ
উপাসনালয় তৈরি কর, সে কংক্রিটের উপাসনালয়ের
কেন্দ্রভূমি সে মানুষেরই অন্তর আমি উপাসনা
দিয়ে প্রাণসঞ্চার করি বলেই তুমি পূর্ণতা লাভ করো,
আমি আরাধনা করি, পূজা সেই বলেই তুমি উপাস্য   

মানুষের মনের চেয়ে বড় কোন দেবালয় নেই,
মানুষের বিবেকের চেয়ে বড় কোন উপাস্য নাই
আমি তোমার পূজা দেই বলেই তো তুমি উপাস্য ,
আমি তোমাকে মনের মন্দিরে বসিয়েছি বলেই তো
কংক্রিটের মন্দিরে তোমার প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে
আমি ছুঁয়েছি বলেই তো তোমার কংক্রিটের শরীর
আরাধ্য হয়েছে, আমি আরাধনা করিবলেই তো
তুমি আরাধ্য হয়েছ তোমার নিরেট নিষ্প্রাণ
কংক্রিটের শরীরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছি আমি   

মানুষের মনের চেয়ে বড় কোন আরাধ্য নেই মানুষের
বিবেকের চেয়ে বড় কোন দেবালয় নেই মানুষের
মনের ভেতরই থাকে দেবালয়, মানুষের ভেতরেই
থাকে পাপ পঙ্কিলতা, মানুষের এক পাশে দেবতা,
অন্য পাশে শয়তান, দেবতা নষ্ট হতে জানে না, আর
শয়তান জানেনা ভালো হতে , তাই মানুষ সৃষ্টির সেরা,
মানুষ শয়তানের চেয়ে বড়,মানুষ দেবতার চেয়েও বড়



হাসান ইমতি

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৩

প্রেম পূজা - হাসান ইমতি

















চিরকালই তুমি ছিলে আমার পূজা মণ্ডপের আরাধনার দেবী,
চিরকালই আমি তোমার পূজা করে গেছি নিঃশর্ত আনুগত্যে,  
চিরকালই নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে আমি তোমার একনিষ্ঠ
আরাধনা করে গেছি কোন প্রতিদানের প্রত্যাশা না রেখেই,  
চিরকালই আমি তোমার চরণ তলে সপেছি ভক্তির নৈবেদ্য
আমার চোখে আমাদের সম্পর্ক ছিল সেবক ও আরাধ্যের,
তোমার চরণে নিজেকে সপেছি তোমার মনে আমার আসন
আর তোমার জীবনে আমার ভূমিকার কথা না ভেবেই

কিন্তু আজ হঠাৎ সবকিছু বড় এলোমেলো হয়ে গেলো,  
আজ হঠাৎ করে সব হিসেব নিকেশে ভুল হয়ে গেলো,  
আজ আরাধনার সাজানো পূজা মণ্ডপ আমার হঠাৎই
তোমার দেয়া ভালোবাসা রঙে মাখামাখি হয়ে গেলো
তোমার কাজল কালো চোখের অতল ডাকে সহসাই
তোমাতে নিঃশর্ত হারালো আমার অনন্ত প্রেমিক হৃদয়

আজ সহসাই এতোকাল ধরে তোমার জন্য সাজিয়ে রাখা
আমার পূজার নৈবেদ্য ভালোবাসা রঙে রাঙিয়ে দিলে তুমি
পূজা মণ্ডপের দেবী তুমি হয়ে গেলে  ভালোবাসার মানবী,
হয়ে গেলে রক্ত মাংসের কামনা বাসনার চিরন্তন মানবী


হাসান ইমতি

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...