এ আমার তোমাকে নিবেদিত প্রেমের কবিতা মাত্র নয়,
তুমিমুগ্ধ আমি একমাত্রিক কবি, আমার বর্ণান্ধ চোখে তুমি
ছাড়া আর কোন রঙ নেই, তুমি ছাড়া আমার কাছে আর
কোন দ্রষ্টব্য নেই, তুমি ভিন্ন আমার আর কোন গন্তব্য নেই,
ফুলের হৃদয় মাতানো সৌরভে আমি উদ্বেলিত হই না,
পাখির কলতান আমায় প্রশান্তি দেয় না, নদীর নির্ঝর,
বাতাসের সমীরণ, সাগরের প্রস্রবণ,
চাঁদের বিকিরণ,
সূর্যের প্রজ্বলন এইসব আমার গভীরতায় কোন বোধ সৃষ্টি
করে না, অন্য অনেকের মত এইসব আমার চিত্তকে উত্তেজিত
করে না, আমি পরে থাকি তোমাকে নিয়েই,
তুমি ছাড়া
আর কোন আরাধ্য নেই আমার, আমার সব কবিতা তোমা
হতে শুরু ও শেষ হয়, তোমাকে নিয়ে, তোমার সুখ,
দুঃখ,
হাসি, কান্না, খুনসুটি,
প্রেম,
বিরহ,
পাপ,
পুণ্য,জন্ম,
জরা,
কষ্ট, ক্লেশ সবকিছু নিয়ে,
সবটুকু তোমাকে নিয়ে আমি
লিখে চলি প্রতিনিয়ত, সবটুকু তোমাকেই আমি ধারণ
করে রাখি,
জড়িয়ে থাকি, ছুঁয়ে রাখি আমার কবিতার
শরীরে, শুনে তুমি ঠোঁট বাঁকিয়ে বললে,“কই কখনো
দেখিনি তো”? প্রশ্নের উত্তর হয়, তুমিও উত্তরই আশা
করেছিলে, কিন্তু আমি তোমাকে প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্নই
করলাম, তুমি কি আমার আমাকে ছুতে পারোনি ?
শুধু এই রক্তমাংসের আমাকে নয়, এ শরীর নয়,
শরীর ছাড়িয়ে আরও গভীরে,
আমার নিজস্বতার
একান্ত সুর শুনতে পাওনি ? শরীরে স্ফীত হয়ে ফুলে
থাকা এই নীল শিরা উপশিরাগুলো দেখতে পাওনি ?
আমার শিরায় শিরায়, লোহিত কণিকার লাল জলোচ্ছাসে,
অণুচক্রিকায়, হৃদয়তন্ত্র জালে যে আকুলতা,যে কবিতা
ধ্বনিত হয় তার
প্রতিপাদ্য তো তুমি, তুমিই তো ।
তুমি কি জান না সে কথা ? তুমি কি আমার অনুভূতির
পদধ্বনি শুনতে পাও না আত্মার গভীরে?
তোমার একান্ত
নিজস্বতায় কি আমার মনোবেদন ধরা দেয় না ?
আমার নিউরনের ভেতর, স্নায়ু তন্ত্রে,
আজ্ঞাবাহী
স্বয়ংক্রিয় মোটর স্নায়ুতে যে কবিতা নিয়ত প্রবাহমান
সে তো তোমাকে নিয়েই, তুমি কখনো এই চোখে চোখ
রেখে দেখেছো কি আমাকে ? আমার চোখের তারার গভীরে
সে কবিতা,
সে তো তোমারই দান, তুমিই তো আমার সব
কবিতার প্রেরণা, আমার সব কবিতা তোমা হতে শুরু
ও শেষ হয়, আমি কোন প্রথাগত কবি নই, তাই আমি
পারিনা তুমি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কোন কবিতা লিখতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন